sports
MR. ALHAJ RAJIV JAFAR CHOWDHURY
সভাপতির বাণী
বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জাফর আহমদ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাঙ্গন উত্তর সাতকানিয়া জাফর আহম্মদ চৌধুরী কলেজ দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রসারে এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এই কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ আমাকে করেছে বিমোহিত।
স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। কিন্তু মানব সন্তান হলেই শ্রেষ্ঠ মানুষ হওয়া যায় না। শ্রেষ্ঠ মানুষ হতে হলে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয়। অন্যায়, অনাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয়। সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করতে হয় । শিক্ষার্থী হিসেবে তোমার দায়িত্ব হচ্ছে পাঠ্যসূচিভুক্ত পাঠ্যক্রম শিক্ষার সাথে সাথে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। তাই ভবিষ্যৎ জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কলেজ শিক্ষার শুরুতে লেখাপড়ার ব্যাপারে তোমার একটি সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। শিক্ষাপঞ্জি এক্ষেত্রে তোমাকে গুরুত্বপূর্ণ পথ নিদের্শনা দিবে।
জনাব আলহ্বাজ রাজীব জাফর চৌধুরী
সভাপতি, এডহক কমিটি
MR. AJIT KANTI DAS
অধ্যক্ষের বাণী
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে সাঙ্গু-বিধৌত রসুলাবাদ গ্রামে সবুজ বেষ্টনী আবৃত মনোরম পরিবেশে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ উত্তর সাতকানিয়া জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজ এর অবস্থান। এই কলেজটি বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জাফর আহমদ চৌধুরীর একক অর্থায়নে ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থী ও সচেতন অভিভাবক মহলের সময়োপযোগী আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালে কলেজটি স্নাতক স্তরে উন্নীত হয় এই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য হিসাববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। এই কলেজের রয়েছে সমৃদ্ধ বিজ্ঞানাগার এবং সুবিশাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব”।
সুযোগ্য পরিচালনা পর্ষদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য রয়েছে একঝাঁক সুযোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী। উত্তর সাতকানিয়া জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশের ব্যবস্থা করেছে, যাতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপঞ্জি অনুসরণ করে সঠিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষাজীবন পরিচালনা করতে পারে এবং আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ, বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতে ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে ।
জনাব অজিত কান্তি দাশ, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)
শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা
১. ওরিয়েন্টেসন ক্লাস ঃ শিক্ষা জীবনের মাধ্যমিক স্তর উত্তীর্ণ হওয়ার পর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা বছরের শুরুতেই ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচিতিমূলক ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতিসহ শিক্ষক- কর্মচারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকেন।
২. ইউনিফর্ম ঃ কলেজে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ইউনিফর্ম আছে। ছাত্রদের জন্য সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট এবং ছাত্রীদের জন্য সাদা এপ্রোন । নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক।
৩. পরিচয়পত্র ঃ শিক্ষাবছরের শুরুতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচয়পত্র ইস্যু করেন। কলেজ ক্যাম্পাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য পরিচয়পত্র সাথে রাখা বাধ্যতামূলক।
৪. নিয়ম-শৃঙ্খলা ঃ কলেজের নিয়ম শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য একটি শক্তিশালী ক্লাস মনিটরিং সেল কাজ করেন। মনিটরিং সেলের সদস্যগণ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং কলেজ চত্বরে যাতে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন।
৫. ক্লাসে উপস্থিতি ঃ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত নির্ধারিত শ্রেণি কার্যক্রমে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কোন শিক্ষার্থীর ক্লাসে উপস্থিতি মোট অনুষ্ঠিত ক্লাসের ৬০% এর নিচে হলে সে বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষার অধিভূক্তি ফরম পুরণের সুযোগ পাবে না।
৬. কাউন্সিলিং কার্যক্রম : শিক্ষার মানোন্নয়ন ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের সমস্যা চিহ্নিতকরণসহ তা নিরসনের লক্ষ্যে প্রতি ২৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন অভিজ্ঞ কাউন্সিলর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে গভীর আন্তরিকতার সাথে উপযুক্ত পরামর্শ দানে সচেষ্ট থাকেন ।
৭. আভ্যন্তরিন পরীক্ষা ঃ কলেজের আভ্যন্তরিণ পরীক্ষাসমূহে সব বিষয়ে অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক। কোন শিক্ষার্থী আভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে তাকে প্রমোশন বা বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বিবেচনা করা হয় না।
৮. টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ঃ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ে নির্ধারিত টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
৯. জাতীয় দিবস ঃ সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে জাতীয় দিবস সমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয় ।
১০. মতবিনিময় সভা ঃ শিক্ষার্থীদের পাঠোন্নতিসহ আচরণগত দিক পর্যালোচনা এবং কলেজ ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্খিত ঘটনা নিরসনের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এসব সভায় অভিভাবকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সুচিন্তিত পরামর্শ সম্মানের সাথে গ্রহণ করা হয়। ১১. বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ঃ প্রতি বছর শীতকালিন মৌসুমে কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদযাপিত হয়। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এ কলেজের শিক্ষার্থীগণ কৃতিত্বের সম্মান অর্জন করে থাকে।
১২. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসপ্তাহ : প্রতিবছর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় এ কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীগণ তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্পে ১ম/২য় স্থান অধিকারের প্রসংশনীয় কৃতিত্ব অর্জন করে থাকে।
১৩. বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা
ক) গ্রন্থাগার : ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনার জন্য সুবিশাল গ্রন্থাগারে প্রায় আট সহস্রাধিক পাঠ্যপুস্তক ও রেফারেন্স বই বিদ্যমান। কলেজে কর্মরত গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকেন।
খ) মিলনায়তন : কলেজে অধ্যয়নরত ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য দুটি পৃথক মিলনায়তন আছে।
এতে শিক্ষার্থীদের সহপাঠক্রমিক শিক্ষা উপকরণ, চলমান পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী, ইনডোর
গেইম ও বিনোদনের সু-ব্যবস্থা আছে।
গ) রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার গাইড : কলেজে ছাত্রদের জন্য রোভার স্কাউট এবং ছাত্রীদের জন্য রেঞ্জার গাইড প্রোগ্রাম চালু আছে। এসব প্রোগ্রামে দুইজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দায়িত্বরত আছেন।
ঘ) উপবৃত্তি ঃ কলেজের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অবস্থা, মেধা, পাঠোন্নতি, সদাচার ইত্যাদি বিবেচনা করে উপবৃত্তি প্রদান করা হয় ।
ঙ) মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম : অত্যাধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে কলেজে ডিজিটাল কন্টেইনসহ শ্রেণি পাঠক্রমের প্রতি শিক্ষার্থীদের অধিকতর মনোযোগ আকৃষ্ট করা হয়।
চ) শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব : কলেজে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব-এ বিপুল সংখ্যক ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছাড়াও এলাকার আগ্রহী জনগণের জন্য কম্পিউটারসহ সব ধরণের উন্নত ডিভাইস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে।
ছ) প্রতিবন্ধী সহায়তা ঃ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস) ও অনার্স পর্যায়ে বিনাবেতনে অধ্যয়নের সু-ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি - প্রদানসহ বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়।
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহঃ | শুক্র | শনি |
---|